নিজস্ব প্রতিবেদক
সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে টিকেট প্রত্যাশী যাত্রীদের তেমন চাপ ছিল না। তবে টিকেট কাটতে অনেক যাত্রীকেই পড়তে হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র বিড়ম্বনায়।
শনিবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, টিকেট বিক্রির প্রথম দিনে চট্টগ্রামে টিকেট প্রত্যাশী যাত্রীদের তেমন চাপ নেই। আজ ২৭ এপ্রিলের টিকিট দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ১০টি আন্তঃনগর ট্রেন ছেড়ে যায়। এসব ট্রেনে সবমিলে মোট ৭ হাজার সিট রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে ৩ হাজার ৫০০ টিকিট। বাকি টিকিট অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্টেশন ম্যানেজার জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম থেকে ২৭ তারিখের সব ট্রেনের টিকেট এখন পর্যন্ত কাউন্টারেই পাওয়া যাচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যাত্রীরা স্টেশনের ১০টি কাউন্টার থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট কিনতে পারছেন।
তিনি বলেন, টিকিটের কালোবাজারি এড়াতে যাত্রীদের এনআইডি কার্ড নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এনআইডি দেখিয়ে টিকিট নিতে হচ্ছে। টিকেটের কার্যক্রম সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়া স্টেশনে পুলিশ, আরএনবিসহ নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা কাজ করছেন।
তিনি বলেন, যাত্রার দিন ঢাকামুখী ট্রেনগুলোতে অতিরিক্ত বগি যোগ করার চেষ্টা করা হবে। ২৯ তারিখ থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে বলেও জানান তিনি।
আজহারুল ইসলাম নামে এক যাত্রী ঢাকা পোস্টকে বলেন, চাপ হবে ভেবে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এসেছি। ২৭ তারিখের ময়মনসিংহগামী বিজয় ট্রেনের টিকেট পেলাম। টিকেট হাতে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। অনেকদিন পরে বাড়ি যাব। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই টিকিট কাটতে পেরেছি।
অনেক যাত্রীকেই জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াই স্টেশনে আসতে দেখা গেছে। রফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল নামে এক যাত্রী বলেন, টিকিট কাটতে যে এনআইডি লাগবে তা জানতাম না। স্টেশনে এসে শুনেছি। পরে বাসা থেকে আরেকজনের মাধ্যমে এনআইডি আনাতে হয়েছে।
রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, স্টেশনের ১ নম্বর কাউন্টারে মহিলা, ওয়ারেন্ট ও রেলওয়ের পাস টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২ নম্বর কাউন্টারে সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (স্নিগ্ধা ও শোভন চেয়ার), ৩ নম্বর কাউন্টারে পাহাড়িকা ও উদয়ন, ৪ নম্বর কাউন্টারে মহানগর গোধূলি ও মহানগর এক্সপ্রেস, ৫ নম্বর কাউন্টারে তূর্ণা এক্সপ্রেস, ৬ নম্বর কাউন্টারে চট্টলা ও বিজয় এক্সপ্রেস (স্নিগ্ধা, শোভন চেয়ার ও শোভন), ৭ নম্বর কাউন্টারে মেঘনা এক্সপ্রেস, চাঁদপুর স্পেশাল ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। বাকি কাউন্টারে অন্যান্য ট্রেনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে।