তাজা খবর:
Home / breaking / আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিকলীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতি ভেঙে সরকারি প্রকল্পের ঘর নির্মাণের অভিযোগ
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিকলীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতি ভেঙে সরকারি প্রকল্পের ঘর নির্মাণের অভিযোগ

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিকলীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতি ভেঙে সরকারি প্রকল্পের ঘর নির্মাণের অভিযোগ


কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মুজিব শতবর্ষে গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতি স্থাপন ভেঙ্গে দখলের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলা বাদী ১মো.ছিদ্দিকুর রহমান ২-মো.দুলাল মিয়া ৩.মো.হাসিম মিয়া ৪-মোছা.আজমন্নেছা ৫-মোছা.নাছিমা বেগম ৬-মোছা. চম্পা সর্ব পিতামৃত ইসরাইল ৭-মোছা. জোসনা খাতুন পতিমৃত- ইসরাইল সর্ব সাকিন- পশ্চিম আলিয়াপাড়া, দামপাড়া, নিকলী। নিকলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দামপাড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এই দুই কর্মকর্তাকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন কিশোরগঞ্জ জেলা, বিজ্ঞ নিকলী সহকারী জজ আদালত(বাজিতপুর চৌকি) যার মোকদ্দমা নং ১২৫/২০২২সন। জানা যায় পশ্চিম আলীয়াপাড়া গ্রামের দামপাড়া ইউনিয়নের নিকলী উপজেলার বাসিন্দা ভূমিহীন ইছরাইল মিয়াকে বিগত ১৫ই মে ১৯৯৩ সালে ১০২৭(১২)৭৭-৭৮নং খাস জমি বন্দোবস্ত মোকদ্দমা মূলে প্রাপ্ত হইলে বাংলাদেশ সরকার পক্ষে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুমোদনে ৬৭৫ নং দলিল রেজিষ্ট্রি হয়। সেমতে নিকলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বন্দোবস্ত মোকদ্দমা মূলে নিম্ন তফসিল বর্ণিত ৮২৮৭নং দাগের ৪১ শতাংশ ও ৬৯০৯ দাগের ১১শতাংশ মোট ৫২ শতাংশ দাবির ভূমি বিগত ২৫-৪-২০১০ইং ইসরাইল নামে ১৯৯(২)স্মারকে রেকর্ড ও ৪/৫/২০১০ইং তারিখে ০৪(১৩)২০০৯-১০নং জমা খারিজ ও ৫২ শতাংশ ভূমির খাজনা চেকসহ ইসরাইল নামে লিপিবদ্ধ হয়। ইসরাইল দাবির দাগদ্বয়ের ভূমিতে স্বত্ববান দখলকার থাকাস্হায় মৃত্যুকালে ৩ প্ত্রু ৩ কন্যা ও অসহায় স্ত্রী স্বত্ববান ভোগদখলকার অবস্থায় হঠাৎ করে ইউএনও এসিল্যান্ড, নায়েব ও নিকলী উপজেলার পরিষদ চেয়াম্যান এ.এম রুহুল কুদ্দুস ভূঞা জনিসহ এই জমি খাস খতিয়ানের দাবি করে ঘর নির্মাণ শুরু করেন।

আমরা কাগজপত্র দেখাতে চাইলে ওই দুই কর্মকর্তা আর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের কাগজ দেখার প্রয়োজন নেই। আদালতে গিয়ে দেখান। এবং আমাদের জেলে ঢুকাবেন বলে হুমকি দেন চেয়ারময়ান ও নায়েব। তখন আমরা উপায় না পেয়ে আদালতে মামলা করি। মামলায় আদালত অস্থায়ী নিশেধাজ্ঞা দেন বলেন ভুক্ত ভোগী ইসরাইল এর স্ত্রী মোছা. জোসনা খাতুন। ভুক্ত ভোগী ইসরাইল এর স্ত্রী মোছা. জোসনা খাতুন আরো বলেন আদালতে মামলা থাকার পরেও প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক ঘর বাড়ি ভেঙে জায়গা দখল করে। আমি অসহায় বৃদ্ধ ছেলে মেয়ে নাতি নাতনীদের নিয়ে মানুষের ধারে ধারে সুবিচারের জন্য ঘুরছি। বিষয়টি সরেজমিন দেখতে গত শনিবার পশ্চিম আলীয়াপাড়া গ্রামের দামপাড়া ইউনিয়নের নিকলী উপজেলার ভূমিহীন ইছরাইল এর বন্দোবস্ত জমিতে ফসল আবাদ করে জীবিকা নির্ভর করে,এবং কিছু জায়গায় ঘর বাড়ী না থাকায়, বাড়ি ঘর স্থাপন ও গাছ পালা রোপণ করে দীর্ঘ দিন বসবাস করে আসছে। হঠাৎ সরকারের লোকজন কোনো কথা না শুনেই জোর করে ঘর নির্মাণ করছে এমন অভিযোগ। দামপাড়ার বাসিন্দা হুমায়ুন বলেন দীর্ঘদিন যাবত ফসল আবাদ ও ঘর বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন ইসরাইল, কিন্তু দুঃখের বিষয় ২০১০ সালে নেদারল্যান্ড সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় পশ্চিম আলিয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

এলাকার ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া করত। কিন্ত শেষ পযর্ন্ত স্কুলটাও ভেঙে দখল করে নেয়। নিকলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ.এম রুহুল কুদ্দুস ভূঞা (জনি)বলেন সরকারের লক্ষ উদ্দেশ্য একজনের জায়গা নিয়ে অন্যজনকে দেওয়ার জন্য নয়।ওনাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওনাদেরকে সরকার যতটুকু বন্দোবস্ত দিয়েছে তার মধ্যে আছেন। আর ওনারা মামলা করেছেন কিন্তু রায় এখনো হয় নাই। সরকার খাস জমিতে আশ্রয়ন প্রকল্প করেছে। নিকলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা.শাকিলা পারভীন বলেন আমি সরজমিন দেখে আইনগহ ব্যবস্থা নিব। তিনি আরও বলেন আইন মেনে যা করার করা হয়েছে এরচেয়ে বেশী কিছু আমি বলতে পারবো না।

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পেলে অবশ্যই কতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব। কিন্তু অভিযোগ করা হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি। অসহায় সিদ্দিক বলেন আমি প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন তিনি যেন আমার বসতভিটে ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Close