নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক সংস্থা আর্টোল্যুশন, তের দেজম ও কক্সবাজার আর্ট ক্লাবের সহযোগিতায় ‘রোহিঙ্গা সংস্কৃতির পুনর্জন্ম ও যাত্রা’ শিরোনামে আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুই দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
ইউএনএইচসিআর বলছে, প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে কক্সবাজারের ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আঁকা বিভিন্ন পেইন্টিং, যার মাধ্যমে বিভিন্ন বয়সের রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষদের চোখে দেখা তাদের জীবন উঠে এসেছে।

কক্সবাজারে নিযুক্ত ইউএনএইচসিআরের প্রধান ইটা শুয়েট বলেন, শরণার্থী ক্যাম্পের কঠিন জীবনে রোহিঙ্গারা গঠনমূলক উপায়ে তাদের আবেগ ও অনুভূতি প্রকাশের দারুণ এক উপায় খুঁজে পেয়েছে আর্ট অর্থাৎ শিল্পের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে তাদের মানসিক কষ্ট কমে, এবং এর পাশাপাশি ছবির মাধ্যমে তারা ধরে রাখছে তাদের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসুদ্দৌজা বলেন, পাঁচ বছর পরও রোহিঙ্গারা নিজ সংস্কৃতি ভুলে যায়নি। আর এটা এই প্রদর্শনীতে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান। তরুণ রোহিঙ্গারা খুবই মেধাবী। এ ধরনের নিয়মিত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য সুফল বয়ে আনবে।
আর্টোল্যুশনের বাংলাদেশে নিযুক্ত কান্ট্রি ম্যানেজার এ এস এম সুজা উদ্দিন বলেন, ছোট-বড় ড্রয়িং ও ক্যানভাস মিলিয়ে আমরা এখন পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি আর্ট তৈরি করেছি রোহিঙ্গা শিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে। এই ছবিগুলো সাহায্য করে তাদের মানসিক শান্তি ফিরে পেতে।
তের দেজমের বাংলাদেশে নিযুক্ত কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মার্টিন সুইনচ্যাট বলেন, এই চমৎকার প্রদর্শনী স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে কিভাবে শিল্পের মাধ্যমে মানুষ অতীতের শোক কাটিয়ে উঠে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে গড়তে পারে।