তাজা খবর:
Home / breaking / বাজারের ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশেই উৎপাদিত
বাজারের ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশেই উৎপাদিত

বাজারের ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশেই উৎপাদিত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:

বাজারের ৯৮ শতাংশ ওষুধ উৎপাদন দেশেই। ওষুধ রপ্তানিতে বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে। কিন্তু আমাদের সে রকম কিছুই নেই। আমাদের কোনো ডিভাইস নেই, পাশাপাশি নেই কোনো উন্নত প্রযুক্তি।

সোমবার(১৩ মার্চ) এফবিসিসিআই বিজনেস সামিটের শেষ দিনে ফার্মাসিউটিক্যালস শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে আয়োজিত সেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের এমডি ও সিইও নাজমুল হাসান পাপন বলেন, দেশের বাজারে ভোক্তাদের সেবন করা ৯৮ শতাংশই উৎপাদন হয় বাংলাদেশে। গত ১২ বছরে আমরা এ শিল্পকে অনেক উন্নত জায়গায় নিতে পেরেছি। যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের বাজারে আমাদের ওষুধ রপ্তানি অনেক সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। আমরা ভারতের চেয়েও কিছু ক্ষেত্রে এগিয়ে।

পাপন বলেন, আমরা শুধু বিভিন্ন শিল্পে সুযোগগুলো নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি। কিন্তু সুযোগ বাস্তবায়ন করব কীভাবে তা নিয়ে কেউ কথা বলে না। পোস্ট এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে আমরা কীভাবে ব্যবসা করব সেটা নিয়ে এখনই ভাবা উচিত। আমরা লিগ্যালি অনেক ওষুধ বানাচ্ছি। কিন্তু আমাদের ভালো গবেষণা নেই, এ ক্ষেত্রে গবেষণা আরও বাড়ানো উচিত।

অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহালা খাতুন বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। আমাদের স্বাস্থ্য-ব্যবস্থায় আরও উন্নতি ঘটাতে হবে। বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে হবে।

অনুষ্ঠানে নভো নর্ডিক বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল ম্যানেজার রাজশ্রী দেব সরকার বলেন, বাংলাদেশে রোগীর সংখ্যা অসংখ্য। এ দেশের ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিকসে আক্রান্ত। তবে বাংলাদেশে নির্বিঘ্ন সরবরাহ ব্যবস্থা আছে। এটি ভালো দিক। প্যাটেন্টে বিনিয়োগ বাড়ানো উচিত।

তিনি বলেন, এ দেশের ফার্মাসিউটিক্যালস শিল্পগুলো কেন ট্যালেন্ট খুঁজে পায় না সেটিও ভাবা উচিত। আমার জানা মতে এ দেশের বহু শিক্ষার্থী প্রতিবছর বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ডিগ্রি নিতে যায়, কিন্তু তাদের খুব কমই দেশে ফিরে আসতে চায়। এটি নিয়ে এ দেশের শিল্প মালিকদের ভাবতে হবে।

অনুষ্ঠানে কানাডার সিনোভেডা ইনকরপোরেশনের সিইও ড. ইয়ান কে ট্যাম বলেন, বিশ্বের গাছের ওষুধের বাজার ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩৫৯ বিলিয়ন ডলারের ছিল। ২০৩০ সাল নাগাদ এটির বাজার হবে ৭৮০ বিলিয়ন ডলার।

এছাড়া হারবাল শিল্পের বাজার ২০২১ সাল পর্যন্ত ছিল ১৫২ বিলিয়ন ডলার, ২০৩০ সাল নাগাদ এ ওষুধের বাজার হবে ৩৪৮ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ এ বাজারগুলোর গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Close